যে ৪ টি কারণে পাউরুটি খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকর

অনেকেই সময় স্বল্পতার কারণে সকালের নাস্তায় ১/২ টুকরো পাউরুটি খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই ভাবেন পাউরুটি খেলে ওজন কমানো সম্ভব, সেকারণে নিয়মিত ২ বেলা পাউরুটি খেয়ে থাকেন। কিন্তু পাউরুটিকে যতটা স্বাস্থ্যকর খাবার বলে ধারণা করা হয় ঠিক ততোটা স্বাস্থ্যকর খাবার নয় এই পাউরুটি। বরং মোটামুটি অস্বাস্থ্যকর খাবার বলেই ধরে নেয়া যায় এই পাউরুটিকে! জেনে নিন সেইসব কারন যে কারণে পাউরুটি খাওয়া উচিৎ নয়।
পাউরুটিতে অনেক পুষ্টি অনুপস্থিত
পাউরুটি তৈরির সময় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান বাদ দেয়া হয়। এতে পরিমিত ফাইবারও থাকে না। সাদা পাউরুটিতে আরও অনেক বেশিমাত্রায় পুষ্টি উপাদান অনুপস্থিত থাকে। সুতরাং পাউরুটি থেকে আসলে কোনো ধরনের উপকার পাওয়া যায় না। বাসায় বানানো সাধারণ রুটি অনেক বেশি পুষ্টিকর।
পাউরুটিতে অনেক বেশিমাত্রায় লবণ থাকে

খাওয়ার সময় মনে না হলেও পাউরুটিতে সাধারণ রুটির তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় ব্যবহার করা হয় লবণ। বাজারে যে সব পাউরুটি পাওয়া যায় তার প্রায় সবগুলোতেই থাকে অনেক লবণ এবং সোডিয়াম যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বাসায় বানানো রুটি অনেক বেশি ভালো স্বাস্থ্যের জন্য।

পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে
কথাটি শুনতে আশ্চর্যজনক শোনালেও সত্যি যে পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে। কারণ পাউরুটিতে রয়েছে লবণ, রিফাইন্ড চিনি, প্রিজারভেটিভস। যারা ওজন কমানোর আশায় পাউরুটি খান তারা আজই পাউরুটি খাওয়া বন্ধ করুন।
পাউরুটি ক্ষুধার উদ্রেক করে
সকালের নাস্তায় ১/২ টুকরো পাউরুটি খেলে খুব দ্রুত তা হজম হয়ে যায়। সুতরাং এটি খুব দ্রুত ক্ষুধার উদ্রেক করে। বলতে গেলে পাউরুটি আপনার দেহের কোনো কাজেই আসে না। সুতরাং পাউরুটি খাওয়া বন্ধ করুন। এর চাইতে বরং রুটি খান, উপকার পাবেন।

আদার ১২ উপকারিতা

আদানিয়মিত অল্প পরিমাণ কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাসের নানা উপকারী দিক রয়েছে। কাঁচা ও রান্নায় ব্যবহার করা ছাড়াও আদা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। কিভাবে আদা খেতে পারেন, সে ব্যাপারে প্রথমে ভালোভাবে জেনে নিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে শরীরের বেশ কিছু সমস্যা প্রতিরোধ ও নিরাময় করে আদা।
নিচে আদার ১২টি উপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো:
১) পরিমিত আদা খাওয়ার অভ্যাসে রক্ত-সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। আদায় রয়েছে ক্রোমিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক। এ উপাদানসমূহ রক্ত প্রবাহের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে।
২) যানবাহনে চড়ার সময় কেউ কেউ অস্বস্তিতে ভোগেন বা কিছুক্ষণ গাড়িতে থাকার পর বমির প্রবণতা চলে আসে। আদা এক্ষেত্রে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
৩) খাবার খাওয়ার পর পুষ্টি-উপাদানসমূহ যদি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও কোষগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে না পৌঁছায়, সেক্ষেত্রে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার ক্ষেত্রে আদা কোষসমূহকে সহায়তা করে।
৪) ঠাণ্ডা লাগা ও ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে আদা বিশেষ ভূমিকা রাখে। এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধ বা নিরাময়ের ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার চলে আসছে।
৫) পেটের অস্বস্তি বা পীড়ায় আদা একটি আদর্শ পথ্য। হজমে সহায়তার পাশাপাশি খাবারের গুণাগুণ শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে দিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে আদা। কিছু খাওয়ার পর পেটব্যথায় ভোগার সমস্যা থাকলে, সেটা দূর হয়ে যাবে। পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এটি।
৬) আদা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৭) ব্যথা ও শরীরে যে কোন ধরনের প্রদাহ কমাতে কাজ করে আদা। প্রাকৃতিকভাবেই এতে রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান।
৮) ফুসফুসের সাধারণ যে কোন সংক্রমণ বা রোগের ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী। সর্দি-কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের সাধারণ সমস্যা দূর করে আদা। গলা ও স্বরতন্ত্রী পরিস্কার রাখে।
৯) ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসায় আদা অন্যতম ভূমিকা রাখে।
১০) প্রতিদিন নিয়মিত সামান্য আদা খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন রোগে অক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুলাংশে কমে আসে।
১১) স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায় আদা।
১২) সকালে কেউ কেউ অসুস্থ বোধ করেন। নিয়মিত আদা খান। এ সমস্যা থেকে অচিরেই নিষ্কৃতি

জ্বর, কৃমি, আমাশয়, সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা এবং বায়ু আধিক্যে কালমেঘ

কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। ১ সে.মি. লম্বা ফুলের রং গোলাপী। দেড় থেকে দু সে.মি. লম্বা ফল অনেকটা চিলগোজার মতন দেখতে।শিকড় ব্যতীত কালমেঘ গাছটির সব অংশই ঔষুধের কাজে লাগে। কালমেঘ অত্যন্ত তেতো এবং পুষ্টিকর। মানব দেহের রোগপ্রতিরোধী শক্তি বৃদ্ধি করে। জ্বর, কৃমি, আমাশয়, সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা এবং বায়ু আধিক্যে কালমেঘ অত্যন্ত উপকারী।
শিশুদের যকৃৎ রোগে এবং হজমের সমস্যায় কালমেঘ ফলপ্রদ। কালমেঘের পাতা থেকে তৈরী আলুই পশ্চিম বাংলার ঘরোয়া ঔষুধ যা পেটের অসুখে শিশুদের দেওয়া হয়। টাইফয়েড রোগে এবং জীবানুরোধে কালমেঘ কার্য্করী। সাধারণ একটা বিশ্বাস ছিল যে সাপের কামড়ে কালমেঘ খুব উপকারী। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে কথাটা ভুল। কোথাও কোথাও কালমেঘ গাছ বেটে সরষের তেলে চুবিয়ে নিয়ে চুলকানিতে লাগানো হয়। গাছের পাতার রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও লিভার রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
কালমেঘ গাছের পাতার রস জ্বর, কৃমি, অজীর্ণ, লিভার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা শিশুদের বদহজম ও লিভারের সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকে এটি ব্যবহার করছে। এ গাছের রস রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক ও রেচক হিসেবেও কাজ করে। আবার এ গাছের পাতা সিদ্ধ করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে ঘা-পাঁচড়া জাতীয় রোগ দূর হয় বলে আদিবাসীদের বিশ্বাস।
কালমেঘ একটি ভেষজ উদ্ভিদ। ১ সে.মি. লম্বা ফুলের রং গোলাপী। দেড় থেকে দু সে.মি. লম্বা ফল অনেকটা চিলগোজার মতন দেখতে।শিকড় ব্যতীত কালমেঘ গাছটির সব অংশই ঔষুধের কাজে লাগে। কালমেঘ অত্যন্ত তেতো এবং পুষ্টিকর। মানব দেহের রোগপ্রতিরোধী শক্তি বৃদ্ধি করে। জ্বর, কৃমি, আমাশয়, সাধারণ শারীরিক দুর্বলতা এবং বায়ু আধিক্যে কালমেঘ অত্যন্ত উপকারী।
শিশুদের যকৃৎ রোগে এবং হজমের সমস্যায় কালমেঘ ফলপ্রদ। কালমেঘের পাতা থেকে তৈরী আলুই পশ্চিম বাংলার ঘরোয়া ঔষুধ যা পেটের অসুখে শিশুদের দেওয়া হয়। টাইফয়েড রোগে এবং জীবানুরোধে কালমেঘ কার্য্করী। সাধারণ একটা বিশ্বাস ছিল যে সাপের কামড়ে কালমেঘ খুব উপকারী। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে কথাটা ভুল। কোথাও কোথাও কালমেঘ গাছ বেটে সরষের তেলে চুবিয়ে নিয়ে চুলকানিতে লাগানো হয়। গাছের পাতার রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও লিভার রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
কালমেঘ গাছের পাতার রস জ্বর, কৃমি, অজীর্ণ, লিভার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা শিশুদের বদহজম ও লিভারের সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকে এটি ব্যবহার করছে। এ গাছের রস রক্ত পরিষ্কারক, পাকস্থলী ও যকৃতের শক্তিবর্ধক ও রেচক হিসেবেও কাজ করে। আবার এ গাছের পাতা সিদ্ধ করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিলে ঘা-পাঁচড়া জাতীয় রোগ দূর হয় বলে আদিবাসীদের বিশ্বাস।

আন্ডার আর্মের কালোদাগ দূর করা

আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের কালো দাগ নিয়ে অনেকেই বিব্রত বোধ করেন। আন্ডার আর্ম বা বগল কালো বিশ্রি লাগে নিজের কাছেই। এমনটি হলে স্লিভলেস ড্রেসও পরা যায় না।
পার্লারে গিয়ে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচের কালো দাগের ট্রিটমেন্ট নেয়া যায়। তবে এটাও অনেকের জন্যই বিব্রতকর। ঘরে বসেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
ওয়াক্সিং
আনডার আর্ম বা বাহুর নিচ কালো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সেভিং অথবা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম। এজন্য ওয়াক্সিং করুন। যদিও এটা আপনাকে কিছুটা ব্যাথা দিবে। কিন্তু এর মাধ্যমে চুল গোঁড়াসহ উঠে আসবে এবং এতে করে আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ হবে ফর্সা।
ঘরেই তৈরি করুন ফর্সাকারী মাস্ক :
কালো আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচ ফর্সা করার জন্য ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন মাস্ক।
উপকরণ:
আধা চা চামচ লবণ
১/৩ কাপ গোলাপ জল
১/৩ কাপ জনসন বেবি পাউডার।
পদ্ধতি :
উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন। যতক্ষণ নরম একটি মিশ্রণ না হয়।এটি আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন আর ভালো ফলাফল দেখুন প্রথম বার ব্যবহারেই। এটি প্রতিবার ওয়াক্সিং এর পর পরই আপনার আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগাবেন।
লেবুর রস :

এটি একটি খুবই উপকারী পদ্ধতি। গোসলের আগে লেবু কেটে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে ঘষতে হবে। লেবু ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। গোসলের পর ত্বক নরম করার জন্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম লাগান।

আলু এবং শসা :
আলু প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। আলু পাতলা করে কেটে আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে ঘষতে পারেন বা আলুর রস বের করেও লাগাতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। একইভাবে শশা ব্যবহার করতে পারেন।
জাফরান মিশ্রণ :
এক চিমটি জাফরান ২ চামচ দুধে অথবা ক্রিমে মিশিয়ে শোবার সময় আন্ডার আর্ম বা বাহুর নিচে লাগান। পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।এটি শুধু বাহুর নিচের অংশ কে ফর্সাই করে না, জার্ম ও ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে।
চন্দন ও গোলাপজল :
একসাথে মিশিয়ে লাগান। চন্দন এর ফর্সাকারী উপাদান দিয়ে ফর্সা করবে আর গোলাপ জল ত্বক রাখবে ঠান্ডা আর নরম।
ডিওডোরেন্ট ব্যবহারে সতর্কতা :
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে শরীরের গন্ধ কিছুদিনের জন্য দূর করুন। বেকিং সোডা অল্প পানিতে দিয়ে আনডার আর্ম বা বাহুর নিচটা ধুয়ে ফেলুন। ডিওডোরেন্ট সরাসরি শরীরে না লাগিয়ে কাপড়ে লাগান

ঘৃতকুমারীর শরবত হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে থাকে

ঘৃতকুমারীতে আছে অনেক গুণ। এটি ব্যবহারের ফলে ব্রণ বা ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঘৃতকুমারীর শরবত পানে অনেক সমস্যা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়। এর শরবতের মধ্যে রয়েছে মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং নানা প্রকার পুষ্টিকর উপাদান।
ঘৃতকুমারীর শরবত হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে থাকে। ডায়রিয়া সারাতেও এটি বেশ উপকারী। এর এক গ্লাস শরবত পানে অবসাদ এবং ক্লান্তি থেকে মুক্তি মেলে। ঘৃতকুমারীর শরবত প্রতিদিন পানের ফলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখে। এটি দেহের সাদা কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে, যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দেহের হাড়ের পুরনো ব্যথা উপশমেও এটি বেশ সহায়ক।

লিউকোরিয়া বা সাদাস্রাবজনিত সমস্যা সমাধানের কয়েকটি ঘরোয়া উপায়

নারীদের শারীরিক সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল লিউকোরিয়া (Leucorrhea) বা সাদা স্রাব। এমন কোন নারীকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল যিনি এই শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাননি। তবে ব্যবধান শুধু এই কারো ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশী আবার কারো ক্ষেত্রে কম। একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত নারীদের শরীরের এই হরমোন নির্গত হওয়াকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু যখন অতি মাত্রায় এই হরমোন নারী শরীর থেকে নির্গত হতে থাকে তখন এটিকে একটি মারাত্মক অসুস্থতা হিসেবে ধরা হয়। সাধারণত পিরিয়ডের আগে, নারীর গর্ভাবস্থায় ও সপ্তাহের কয়েকটা দিন এই হরমোন নির্গত হওয়া স্বাভাবিক। তবে একটানা এভাবে হরমোন নির্গত হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক। আমরা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে লিউকোরিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।
যে উপায়ে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে লিউকোরিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি:
কলা : (banana): লিউকোরিয়া রোধে কলা খুব উপকারী ফল। আপনার লিউকোরিয়ার সমস্যা প্রতিরোধে দিনে দুইটি করে পাকা কলা খান। কলা খাওয়া চালু রাখুন ততদিন পর্যন্ত যতদিন না আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন।
মেথি বীজ : (fenugreek seeds): মেথি বীজ যোনির (vagina) পি এইচ(pH level) লেভেল বাড়িয়ে তুলে লিউকোরিয়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক চা চামচ মেথি বীজ রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানিটুকুতে হাফ চা চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। মেথি বীজ অন্যভাবেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন। দুই চা চামচ মেথি বীজ চার কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন, এরপর পানি ছেঁকে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই পানি দিয়ে আপনার যোনিপথ দিনে দুই থেকে চার বার ধুয়ে পরিষ্কার করুন। এভাবে এটির ব্যবহার চালিয়ে যান যতদিন না আপনি প্রতিকার পাচ্ছেন।
আমলা: (indian gooseberry): আমলার ভিটামিন সি ও অ্যান্টি ইনফেকশন উপাদান লিউকোরিয়া প্রতিরোধে খুব সাহায্য করে। এক চা চামচ শুকিয়ে যাওয়া আমলার পাউডার এক কাপ পানিতে নিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন যতক্ষন না এটি অর্ধেকে নেমে আসে। এরপর এই মিশ্রণে সামান্য চিনি বা মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। ভালো ফলাফলের জন্য এটি এক মাস পান করুন।
ডুমুর : (fig): ডুমুরকে লিউকোরিয়া প্রতিরোধের মহাঔষধ বলা হয়। ডুমুরের শক্তিশালী লাক্সাটিভ (laxative) উপাদান শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন নির্গত করে লিউকোরিয়া কমিয়ে তুলতে সাহায্য করে। দুই থেকে তিনটি শুকনো ডুমুর রাতে এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন সকালে পানিসহ ডুমুর ব্লেন্ড করে খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় আপনার কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া পর্যন্ত খেতে থাকুন।
ঢেঁড়স: (okra): লিউকোরিয়ার প্রতিকারক হিসেবে ঢেঁড়সের তুলনা হয়না। ১০০ গ্রাম ঢেঁড়স উত্তমরূপে ধুয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন। হাফ লিটার পানিতে এই ঢেঁড়স জ্বালাতে থাকুন যতক্ষণ এটি ফুটে অর্ধেকটা না হয়। এরপর পানিটুকু ছেঁকে নিয়ে তিনভাগে ভাগ করে নিন এবং দিনে তিনবার এতে একটু মধু মিশিয়ে পান করুন। যতদিন না আপনার সমস্যার উন্নতি না হচ্ছে এভাবে এটি খেতে থাকুন।
নিম পাতা : (indian lilac): নিম পাতার অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান আপনার যোনির ইনফেকশন নির্মূল করে লিউকোরিয়া সারিয়ে তোলে। আপনার হাতের একমুঠ নিম পাতা কিছুটা পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করুন, এরপর এই পানি ছেঁকে ঠাণ্ডা করে দিনে একবার আপনার যোনি ধুতে ব্যবহার করুন। এই পদ্ধতি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চালিয়ে যান।
বেদানা : (pomegranate)স্বাস্থ্যকরী এই ফল আপনার লিউকোরিয়ার (leucorrhea) সমস্যা সমাধানে খুব কাজ করে। প্রতিদিন একগ্লাস ফ্রেস বেদানা জুস গ্রহণ করুন এক মাসের জন্য। আশা করা যায় আপনার এই শারীরিক সমস্যার সহজ সমাধানে এটি খুব ভালো কাজ করবে।
আপনার রোগ শরীরে পুষে রাখবেন না। লিউকোরিয়া (leucorrhea) এমন একটি রোগ যা নারীর শরীরে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে তাই এখন থেকে সচেতনভাবে এই সমস্যার প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন।

ডিমের খোসার চমৎকার কিছু ব্যবহার

ছোট্ট একটি জিনিস,কিন্তু এর মাঝে আছে রাজ্যের সব গুণাগুণ। আছে নানান তর্ক-বিতর্ক,আছে রসরঙ্গ,আছে কুসুংস্কারও! জিনিসটি আর কিছুই নয়,একটি ডিম। হতে পারে সেটা হাঁস কিংবা মুরগীর! ডিমের পুষ্টিগুণ নিয়ে আমার থেকে অনেক ভালো জানেন আপনারা। তাই আমি আজকে শোনাবো অন্য কথা। ডিমের খোসারও যে কত রকম ব্যাবহার আছে,তা দেখে নিন। বাজি ধরে বলতে পারি,কম করে হলেও একটি দুটি উপায় আজকেই বাসায় চেষ্টা করবেন।
আর যাই হোক,এটা আমরা সবাই মোটামুটি জানি। ডিমের খোসার উপর মনের ইচ্ছেমত ছবি এঁকে ঘরের একটা কোণে ছোটবেলায় সাজিয়ে রেখেছি কত! রং-তুলির আঁচড়ে কিছু একটা তো হতো বটেই,আর সেটাকে দেখেই গর্বে বেসামাল অবস্থা হয়ে যেতো মনের ভেতর। কী শৈল্পিক এক কাজ করে ফেলেছি,এই ভেবে! সেই ধারণা কিছুটা কাজে লাগিয়ে পরে এসেছে মোজাইক আর্ট। ডিমের খোসা টুকরো টুকরো করে, নানান রঙ্গে রাঙ্গিয়ে কোনোকিছুর গায়ে সেঁটে দিয়ে ইচ্ছেমত আকৃতি আনিয়ে নিলে অদ্ভুত সুন্দর শিল্পকর্ম হয়। ছোট্টবেলার এই প্রিয় কাজটি ছাড়াও ডিমের খোসার আরো চমৎকার সব ব্যাবহার আছে,সেটাই জানাতে চাচ্ছি সবাইকে…
১। আপনার গাছের সার এর সাথে ডিমের খোসা গুড়ো করে মিশিয়ে দিতে পারেন। মাটিতে ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য খনিজের পরিমাণ বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে এটি,যেহেতু ডিমের খোসা খুব তাড়াতাড়ি বিশ্লেষিত হয়!
২। গাছের জন্য ক্ষতিকারক যেসব কীটপতঙ্গ কিংবা বালাই আছে,তাদেরকে গাছ থেকে ১০০ হাত দূরে রাখতেও এটি বন্ধুর মত আপনাকে সাহায্য করবে। ডিমের খোসা গুড়ো গুড়ো করে গাছের চারপাশের মাটিতে কিংবা ফুলের চারপাশে ছিটিয়ে দিলে ঐসব ক্ষতিকারক কীটপতংগ গাছের কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা। অনেকটা প্রাকৃতিক কীটনাশক রূপে কাজ করে এটি।
৩। শৌখিন ও খুঁতখুঁতে স্বভাবের গৃহিনীদের জন্য সুখবর। বাসায় নিশ্চয়ই এমন কিছু জিনিস থাকে,যা পরিষ্কার করা যায়না সহজে। যেমন কারুকাজ করা ফুলদানী কিংবা থার্মফ্লাস্ক। সাবান-পানির সাথে যদি একটু ডিমের খোসা ভালভাবে গুড়ো করে মিশিয়ে দেয়া যায়,তবে তা দিয়ে ঐসব খুঁটিনাটি জিনিস খুব সহজেই পরিষ্কার করা সম্ভব। এছাড়া ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হয়,এমনতর জিনিসের পরিষ্কারক হিসেবেও বেশ দ্রুততার সাথে কাজ করে গুড়ো করা ডিমের খোসা।
৪। যেহেতু ডিম,সেহেতু খাওয়ার প্রসঙ্গ চলেই আসে। কফির তিক্ততা স্বাদ যাদের খুব একটা পছন্দ না, বিশেষ করে তাঁদের জন্য এই খবর। কফি দানার সাথে কিছু ডিমের খোসার গুড়োও মিশিয়ে দিন। তবে হ্যা, পুরো জিনিসটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে অবশ্যই। ডিমের খোসা স্বাদের তিক্ততা অনেকটা কমিয়ে আনবে।
৫। এবার একটি দারুন মজার খবর। ডিমের খোসা অল্প একটু ছিদ্র করে খুব সাবধানে ভেতরের অংশ বের করে নিয়ে যেভাবে ইচ্ছে খেয়ে নিতে পারেন। তবে খোসাটি ফেলে দিবেননা। খোসার ভেতর দিয়ে দিন জেলী কিংবা গলিত চকলেট! খোসার ভেতরে ধীরে ধীরে যেন তা মোটামুটি কঠিন আকার পেয়ে যায়,সেটা খেয়াল রাখবেন। তারপর মেহমানের সামনে এমনভাবে পরিবেশন করবেন,দেখতে যেন সেদ্ধ ডিমের মত মনে হয়। খোসা ছাড়াতে গেলেই খাবার টেবিলে হাসির ফোয়ারা ছড়িয়ে পড়বে।
৬। ত্বকে সামান্য কারণে অনেক সময় জ্বালা-পোড়া হয়,চুলকানি হয়। আপেল ভিনেগারের সাথে একেবারে নিষ্পেষিত ডিমের খোসা ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে,ভাল উপকার পাওয়া যায়। যেহেতু মিশ্রনটি তখন বেশ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ থাকে।
৭। সবচে’য়ে চমৎকার খবরটি দিচ্ছি এখন। সবুজের সাথে সম্পৃক্ততা আছে প্রকৃতির প্রতিটি উপাদানের কোনো না কোনোভাবে! আর যদি একটু অন্যদৃষ্টিতে দেখি,তাহলে ব্যাপারটি হয় এরকম। অল্প একটু সবুজ যেখানেই দেখিনা কেন মন পরম শান্তিতে ভরে ওঠে,সেটা আবর্জনাতেই হোক,কিংবা বহু পুরনো দেয়ালের ফাঁক-ফোঁকরেই হোক! ডিমের খোসা কিন্তু ব্যাবহার করতে পারেন চারাগাছের জন্য টব হিসেবে! টমেটো গাছের ছোট্ট সবুজ চারাগুলো এক ডজন ডিমের খোসায় মাটি ভরে তাতে লাগিয়ে দিন,জানালার ধারে রেখে দিন তাদেরকে খুব সন্তর্পণে। ওরা যখন একসাথে হাসতে খেলতে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠবে,বসন্ত এলেই পুঁতে দেবেন মাটিতে। ডিমের খোসায় শৈশবটা একসাথে কী চমৎকারভাবেই না কাঁটবে! আপনার নিজেরও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে চারাগাছ গুলোকে অমন অবস্থায় দেখলে। বিশেষ করে এই দায়িত্বটি ঘরের শিশুদের বুঝিয়ে দিন,দেখবেন তারা কী উৎসাহ নিয়ে ডিমের খোসায় নতুন নতুন চারাগাছ লাগাচ্ছে। প্রতিটি শিশুকে যদি এরকম আকর্ষণীয় উপায়ের মাধ্যমে উৎসাহিত করা যায়,তবে ভবিষ্যৎ পৃথিবী কেন সবুজ হবেনা,বলুন তো ?

পুরুষাঙ্গ নয় হৃদয়কেও সুস্থ রাখে ভায়গ্রা

শুধু যৌন জীবনই নয় ভায়গ্রা যত্ন নেয় আপনার হৃদয়েরও। এমনটাই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। পুরুষাঙ্গের ইরেকশন জনিত সমস্যার সমাধানের জন্য ভায়েগ্রার প্রচলন বহুদিন ধরেই। সঙ্গমকালে পেনিসে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে ভায়েগ্রা। বিএমসি মেডিসিন নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী এই ”ছোট্ট নীল ওষুধ” হার্ট মাসলের ঘন হওয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ফলে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক সম্ভাবনা বহুলাংশে হ্রাস হয়।
ইরেকশন জনিত সমস্যা সমাধানে যে পরিমাণে ভায়গ্রা প্রয়োজন পরে তার থেকে কম ডোজের ভায়গ্রার প্রয়োজন পরে হার্টের ক্ষেত্রে। হার্টের সমস্যায় জর্জরিত রোগীদের উপর ভায়গ্রা প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে এর পার্শ্ব পতিক্রিয়া অতন্ত্য কম। এখনও পর্যন্ত ১৬০০ জন রোগীর উপর হার্টকে সুস্থ্য রাখতে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে। প্রতি ক্ষেত্রেই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে।
এই গবেষণার অন্যতম প্রধান রোমের সাপিয়েনযা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ অ্যান্দ্রিয়া এম. ইসিডোরি জানিয়েছেন দ্রুত এই বিষয়ে আরও বেশ কিছু ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রয়োজন রয়েছে।

হোমিও চিকিৎসক অতুল চন্দ্রের নামযশ সর্বত্র

হাজার হাজার রোগীর বক্তব্য শুনে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন ডা. অতুল চন্দ্র গোস্বামী
অনেকেই বলে থাকেন; গল্প গল্পই। কিন্তু বাস্তবতার সাথেও যে গল্পের মিল থাকে তা নিজের চোখে না দেখলে বোঝা দায়। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরে যেমন প্রথমে ইঁদুর ও পরে শিশুদের ঢল নেমেছিল জার্মানির হ্যানোভারের ৩৩ মাইল দক্ষিণে হ্যামিলন শহরে, ঠিক তেমনি বিরল ঘটনা দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে চলছে বাংলাদেশের রংপুর থেকে ৩৩ মাইল দূরে জামালপুর নামের একটি নিভৃত গ্রামে। একজন হোমিও চিকিৎসকের বাড়িতে প্রতি সপ্তাহের তিন দিন হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। রাতের শেষে দিন, তারপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা; একটি মাত্র পুরিয়ার জন্য অপেক্ষা। সেই সামান্য পুরিয়াই ক্যান্সার, প্যারালাইসিস, ল্যাপথেরিয়া, কিডনিসহ অনেক জটিল রোগীকে দিয়েছে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন। আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা পদ্ধতির বাইরে ডা: অতুলচন্দ্র গোস্বামী এখন হোমিওর হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হিসেবে চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখছেন। 
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের ঘাঘট নদীর তীর ঘেঁষা একটি অতি সাধারণ বাড়ি। বাড়িটিকে ঘিরে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। প্রথমে কেউ দেখলে মনে হবে হয়তো বড় কোনো দুর্ঘটনা নয়তো কোনো আনন্দ উৎসব কিন্তু আসলে তা নয়। এই বাড়িটিতে বসে বিগত ৩১ বছর ধরে সপ্তাহের সোম, মঙ্গল ও বুধবার বিনামূল্যে হোমিও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন ডা: অতুলচন্দ্র গোস্বামী। 
অসম্ভব মেধাবী এই চিকিৎসকের চিকিৎসাপদ্ধতিও একটু ভিন্ন ধরনের। নির্ধারিত দিনগুলোতে বাড়ির পশ্চিম পাশে ঘরের দেয়াল আর সুপারি গাছের তৈরি বাউন্ডারি ওয়ালের সামনে বসানো হয়েছে ছোট বড় ডজন খানেক বাঁশের টঙ। ওই টঙেই বসেন প্রকারভেদের রোগীরা। নির্ধারিত করে দেয়া আছে ক্যান্সার, কিডনি, প্যারালাইসিস, ল্যাপথেরিয়া, সাধারণ ও পুরনো রোগীদের টঙ। পশ্চিম-উত্তরে আছে দু’টি বাথরুম। দক্ষিণ পাশে আছে সেখানে যাওয়ার প্রধান পথ। আছে আরো তিনটি বাঁশের বেড়া দেয়া কাঠরা। সেখানে মহিলা রোগীরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। রাত ২টার পর থেকে ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকেন রোগীরা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় রোগী দেখা। চলে গভীর রাত অবধি। ডা: অতুল দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে ছয় হাত দূরে থেকে এক এক করে রোগীর বক্তব্য গভীর মনোযোগসহ শোনেন। সিরিয়াল নিয়েও কোনো ঝক্কিঝামেলা নেই। সিরিয়ালও করেন রোগীরা নিজেই। রোগীরাই রোগের পরীা রিপোর্টগুলো মেলে ধরেন তার সামনে। নিবিড়ভাবে সেগুলো দেখেন তিনি। ১৭টি পয়েন্ট দিয়ে সেগুলোকে লিখতে বলেন। লেখা শেষে সেগুলো পাঠ করিয়ে শোনাতে বলেন রোগী কিংবা অভিভাবকদের। এভাবে ১০ জন রোগীর বক্তব্য শোনা ও রিপোর্ট দেখার পর ডা: অতুল বাড়ির ভেতরে যান। জীর্ণশীর্ণ অন্ধকার ঘরে ঢোকেন। সেখান থেকে হোমিও বাক্স থেকে ওষুধ নিয়ে সাদা কাগজে মুড়িয়ে পুরিয়া বানান। আবার চলে আসেন রোগীদের সামনে। নিখুঁত ভাতে সেই পুরিয়া রোগীদের নাম ও রোগ অনুযায়ী দূর থেকে বণ্টন করে দেন। পুরিয়া হাতে দেয়ার সময় তিনি রোগীর হাতেও হাত রাখেন না। সব সময় রোগীর স্পর্শের বাইরে থাকেন তিনি। ওষুধ খাওয়ার নিয়মও সোজা। পুরিয়াটি এক কাস পানিতে দিয়ে এক দিন রাখতে হয়। সেই পানি থেকে মাত্র এক চামচ নতুন রোগী হলে রাতে আর পুরনো রোগী হলে সকালে রোগীকে খাইয়ে বাকি পানি গাছের গোড়ায় ঢেলে দিতে হয়। ১৫ দিন পর পর আসতে হয় পরবর্তী ডোজের জন্য। সাদামাটা এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে এ পর্যন্ত তার কাছে দেশ-বিদেশের অনেক নামীদামি হাসপাতাল ফেরত দুরারোগ্য রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। 
সুস্থ হয়েছেন ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, স্টোন, প্যারালাইসিস, পাঘাত, থ্যালাসেমিয়া, হার্টব্লক, প্রোস্টেট গ্র্যান্ড, কিডনি, মিস কানেক্টেড টিস্যুসহ জটিল রোগীরা। শুধু মানুষ নয়, গরু-ছাগলেরও কঠিন ও জটিল রোগ নিরাময় হয় তার হোমিও চিকিৎসায়। গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার সেখানে দিনভর অবস্থান করে দেখা গেলো সেই দৃশ্য। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সন্নাবাড়ী গ্রাম থেকে এসেছেন শাহজাহান মিয়া (৫৯) নামের এক বৃদ্ধ। তিনি জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে পায়খানার রাস্তায় হোমোরয়েট বা অশ্ব রোগে ভুগছেন। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজসহ অশ্ব বিশেষজ্ঞদের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু কমেনি। এলাকায় শুনে ডা: অতুল চন্দ্রের কাছে এসেছেন তিনি। জানালেন ১৫ দিন আগে এক পুরিয়া নিয়ে গেছেন। সেই পুরিয়াতে আরাম অনুভব করেই আবারো দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য এসেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহ যে সব কিছুই করতে পারেন তার প্রমাণ ডা: অতুলের পুরিয়াতে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের মধ্যবাবুড়িয়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান (৫০) জানালেন, বছর দেড়েক ধরে গলার ক্যান্সারে ভুগছেন। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। বিভিন্ন জায়গায় প্রায় তিন লাখ টাকার মতো খরচ করেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে অতুল বাবুর কাছে আসি মাস তিনেক আগে। এ পর্যন্ত চার পুরিয়া ওষুধ নিয়েছি। আল্লাহর রহমতে আরাম অনুভব করছি। 
অন্য দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর শ্যামলীর বাবর রোড এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন। তিনি জানালেন, তার স্ত্রী রোকেয়া আখতার মালার দু’টি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। এক দিন পর পর ডায়ালাইসিস করেন। প্রথমে তার স্ত্রীর ৮৮ কেজি ওজন ছিল। ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়ানোর পর হেপাটাইসিস বি রোগে আক্রান্ত হন। এরপর কিডনিতে অ্যাটাক। ল্যাবএইডে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি সেরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে এসেছেন। প্রস্তুতি চলছে ব্যাঙ্গালোরে যাওয়ার। এরই মধ্যে বাবর রোডের অনেকের কাছে শুনে তিনি এসেছেন ডা: অতুলের কাছে। ডা: অতুল নিবিড়ভাবে তার কথাগুলো শুনে একটি পুরিয়া দিলেন। বললেন আল্লাহর কৃপায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলেন কাজী জালাল। বললেন আল্লাহ বুঝি এবার রহম করবেই আমার স্ত্রীর ওপর। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি তাদের। পাবনা সদর উপজেলার শরীয়তপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাবু এসেছেন সেখানে। তার মা রোকসানা বেগম ক্যান্সারে আক্রান্ত। সকাল থেকে একটানা টঙে বসে থেকে রাত সাড়ে ৯টায় তিনি ডা: অতুলের মুখোমুখি হন। বললেন মায়ের সব বিবরণ। তাকেও দেয়া হলো একটি মাত্র পুরিয়া। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে পুরিয়াটি নিয়ে পরম মমতায় রেখে দিলেন ব্যাগে। তিনি জানালেন, মায়ের ক্যান্সারের জন্য সব ধরনেরর চিকিৎসা করিয়েছি। মাকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে দেখতে চাই। সে জন্যই খুঁজে খুঁজে এখানে আসা। আমাদের এলাকার অনেকেরই জটিল রোগ ভালো হয়েছে তার পুরিয়া খেয়ে। এভাবে অন্তত শ’ খানেক রোগীর সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। কেউ পুরনো আবার কেউ নতুন। সবাই ভালো হওয়ার আশায় এখানে এসেছেন। 
তবে এ ক্ষেত্রে ডা: অতুলচন্দ্রের বক্তব্য খুবই সাধারণ। তিনি নয়া দিগন্তকে জানালেন, অসহায়, দুখী, গরিব মানুষ যখন আমার সামান্য পুরিয়া খেয়ে জটিল রোগ সেরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে তখন আমার আনন্দের সীমা থাকে না। আর ধনাঢ্য মানুষ যখন ভালো হয়, তখন তারা জীবনের মানে বুঝতে শেখে, মানবব্রতী হয়ে ওঠে। এই অনাবিল আনন্দের অনুভূতিই আমাকে বিনামূল্যের চিকিৎসা সেবায় আগ্রহী করে তুলেছে। তিনি আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর ভর করে জোর দিয়ে বলেন, মূলত স্রষ্টার ইচ্ছাতেই রোগ ভালো হয়। স্রষ্টার চাওয়া না চাওয়ার সাথেই মূলত রোগ ভালো হওয়া না হওয়ার সম্পর্ক। এ জন্য প্রয়োজন মিথ্যা পরিহার করে পরিশ্রম আর সাধনার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা করা। তিনি হোমিও চিকিৎসার জনক হ্যানিম্যানকে চিকিৎসা সেবার আইডল দাবি করে বলেন, যে মিথ্যে কথা বলে তাকে কোনো দিনই হোমিওর বাক্স হাতে নেয়া উচিত নয়।
প্রখর স্মৃতিশক্তিসম্পন্ন এই চিকিৎসক একজন আজন্ম কৃতজ্ঞ মানুষ। ২০০৯ সালের ১৬ মে নয়া দিগন্তেই তাকে নিয়ে সর্বপ্রথম কোনো গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করে। এরপর সেটি সম্প্রচার করে দিগন্ত টেলিভিশন। দেখা গেলো তার স্মৃতিশক্তির প্রখরতা। সাড়ে পাঁচ বছর পর তার বাড়িতে যাওয়া মাত্রই তিনি এই প্রতিবেদকের নাম ধরে ডাকলেন, উপস্থিত সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। প্রকাশ করলেন নয়া দিগন্ত এবং দিগন্ত টেলিভিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতার নানা কথা। উপস্থিত রোগীদের বললেন, নয়া দিগন্ত এবং দিগন্ত টেলিভিশনই প্রথম আমাকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে, যা দেশে-বিদেশে আমাকে পরিচিত করে তুলেছে। 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স করার পর হোমিও এবং এলোপ্যাথিক শিা নিয়ে নিভৃত পল্লীতে বসেই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাধক চিকিৎসক অতুলচন্দ্র গোস্বামী। একেবারে সাধাসিধে জীবনযাপন তার। শোয়ার ঘরটিও টিনের বাংলো ঘরের। আর সামান্য সময় পেলেই বসে যান পড়ার টেবিলে। এক পুত্রসন্তান স্ত্রী সমেত এই বাড়িতেই বসবাস করেন তার মামার সাথে। কৃষির ওপর সংসার চলে তার। আর এই গুরু দায়িত্বটি পালন করেন মামা সুবোধ মুখার্জী। সুবোধ মুখার্জী এ প্রতিবেদককে জানান, ছেলে আমার টাকা নেয় না। সাধনা করেই তার এই সফলতা। 
কর্মসংস্থানের সুযোগ : এই ডা: অতুলচন্দ্র গোস্বামীর বিনামূল্যের চিকিৎসার ওপর ভর করে সেখানে গড়ে উঠেছে তিনটি খাবার হোটেল। এরমধ্যে একটি দেলওয়ারের। সোম, মঙ্গল ও বুধবার দিনরাত চলে তাদের বেচাকেনা। দেলওয়ার জনান, ডাক্তার বাবু একদিন আমাকে ডেকে বললেন, দেলওয়ার তুমি দোকান দাও। সপ্তাহে তিন দিন ধৈর্য ধরে দোকান করে চলে যাবে। হয়েছেও তাই। দেলওয়ারের স্ত্রী ছালেহা জানালেন, স্বামী-স্ত্রী মিলে দোকানদারি করি। গড়ে ওই তিন দিনে ১৫ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। তা দিয়ে ভালোই চলছে সংসার। দোলেনা নামের বড় মেয়ে এ বছর মাঠেরহাট স্কুল থেকে জেএসসিতে গোল্ডেন ফাইভ পেয়েছে। 
সরেজমিন দেখা গেছে, ডা: অতুলচন্দ্র গোস্বামী যে বাড়িতে বসে চিকিৎসা দেন তার আশপাশের পথঘাটগুলো মান্ধাতা আমলের। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু কাদা। নেই ওই গ্রামে বিদ্যুতের ব্যবস্থা। এরই মধ্যে সদয় হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার দেওয়ান তফাজ্জল হোসেনও গেছেন ওই বাড়িতে। তিনি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার সব বন্দোবস্ত করেছেন। হয়তো শিগগিরই আসবে বিদ্যুৎ। কিন্তু রাস্তাঘাটের বিষয়ে কেউ জানে না কখন হবে। অথচ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ওই বাড়িতে যাচ্ছেন খুবই কষ্ট করে। রাস্তার সমস্যার কারণে জটিল কঠিন রোগীরা বিপাকে পড়ছেন প্রতিনিয়ত। 
যোগাযোগ: ডা: অতুলচন্দ্র গোস্বামীর বাড়িতে যাওয়া যায় বিমান, সড়ক ও ট্রেনযোগে। সড়কপথে দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়িতে নামতে হবে। এরপর সোজা পূর্ব পাশে ২০ কিলোমিটার পরে মাঠেরহাট নামক জায়গায় গিয়ে ইমাদপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রাম। একইভাবে বিমানযোগে সৈয়দপুরে নেমে রংপুর হয়ে শঠিবাড়ি দিয়ে যাওয়া যাবে ওই গ্রামে। এ ছাড়া রেলপথে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে নেমে পশ্চিম দিকে ১৫ কিলোমিটার পর মির্জাপুর হয়ে জামালপুর গ্রাম। দু’টি রুটেই ভটভটি, মাইক্রো, অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান এবং মোটরসাইকেল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।

যে খাবারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে মেদভুঁড়ি

শরীরটা এমনিতে ঠিকঠাকই আছে। মুটিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় পড়তে হয়নি এখনো। কিন্তু দিন দিন শার্টের নিচ থেকে ক্রমশ উঁকি মারছে নাদুস-নুদুস হতে থাকা মেদভুঁড়ি। কেবল চোখের দেখায় খারাপ লাগার বিষয় তো নয়, ভুঁড়িটাকে বাড়তে দিলে অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতেই বা কদিন! খাবারদাবারে সচেতন হয়ে সহজেই এই বাড়তি যন্ত্রণাটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন আপনি। টিএনএন অবলম্বনে এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এমন কিছু খাবারের গুণাগুণ।
সবুজ চা
কোমরের মাপ ঠিক রাখা আর পেটের নানা প্রদাহের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য দারুণ এক পানীয় এই সবুজ চা। সবুজ চায়ে থাকা ফ্লেভোনয়েড প্রদাহ রোধে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া বহু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সবুজ চা-পান পুরো শরীরকেই মেদমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
ওমেগা-থ্রি
গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এবং সঙ্গে কিছুটা ওমেগা-সিক্সসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রদাহ কমানোর জন্য খুবই কার্যকর। ওমেগা-থ্রিসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে আখরোট, তিসি ও তিসির তেল, স্যালমন মাছ ইত্যাদি।
রসুন
প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়মিত রসুন খান। রক্তে শর্করা ও ইনসুলিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীরে জমতে থাকা চর্বি পোড়ানোটা সহজ হয়। এ ছাড়া খাবারদাবার হজমে সহায়ক হিসেবে রসুন খুবই কার্যকর। এভাবে মেদভুঁড়ি কমাতে রসুন আপনাকে ভালোই সাহায্য করতে পারে।
পুদিনাপাতার রস
কিছু পুদিনাপাতা থেঁতলে নিয়ে এক কাপ গরম পানিতে ছেড়ে দিন, এক টেবিল-চামচ মধু এবং খানিকটা কাঁচা মরিচ মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। পাঁচ মিনিট রেখে দিয়ে পুদিনার রসের এই দাওয়াই পান করুন। পুদিনার রস যেমন পাকস্থলীকে প্রশান্তি জোগাবে, তেমনি মধু আর মরিচ পরিপাকে সহায়তা করে মেদ কমাবে।
তরমুজ
তরমুজের ৮২ ভাগই পানি। কিন্তু রসাল এই ফল আপনার ক্ষুধা নিবারণ করে পাকস্থলীকে শান্ত রাখতে পারে। ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ তরমুজের নানা স্বাস্থ্য সুফল রয়েছে। খাবারদাবারের বিষয়ে স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠতে শুরু করলে আপনার খাদ্যতালিকায় তরমুজ রাখতে পারেন। এ ছাড়া এটা মধ্যাহ্নের নাশতা হিসেবেও খুবই কার্যকর।
আপেল
জনপ্রিয় ফল আপেল নানা রোগ মোকাবিলায় কার্যকর। পাশাপাশি এটা পেটে জমতে থাকা মেদ ঝরাতেও উপকারী। আপেলে থাকা পটাশিয়াম এবং নানা ভিটামিন পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। মেদভুঁড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাশতায় একটা আপেল রাখতে পারেন।
কলা
আপেলের মতোই কলাও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ এবং এতে নানা ভিটামিন আছে। ক্ষুধা লাগলে ফাস্টফুডের পেছনে না দৌড়ে একটা-দুটো কলা খেয়ে নিন। খাবারদাবার পরিপাকের জন্যও কলা খুবই উপকারী। নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটা মেদ কমাতে সহায়তা করবে।